আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
Welcome to Excellent news24
পায়ু পথে অবৈধ ভাবে স্বর্ন আনতে গিয়ে ধরা পরেছে এক দুবাই প্রবাসী
আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে ভালো আছি। স্বাগত জানাচ্ছি Excellent News24 এর আরো একটি পর্বে।
কথায় আছে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু! এরকম ঘটনাই বলতে যাচ্ছি।
একই ভাবে অতিরিক্ত লোভের সাজা পাচ্ছেন এক দুবাই প্রবাসী।
পায়ু পথে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার স্বর্ন নিয়ে ধরা পরেছে এক দুবাই প্রবাসী।
রফিকুল ইসলাম নামের এক দুবাই প্রবাসী দেশে ফেরার সময় পায়ুপথে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার স্বর্ন নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে আটক হয়েছে। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা। কাস্টমস অফিসে তার চলাফেরা স্বাভাবিক নয় এমন মনে হলে গোয়েন্দাদের মনে সন্দেহ জাগে। সেই সন্দেহের সুত্র ধরে তাকে নজরে রাখেন গোয়েন্দা দল। এক পর্যায়ে গোয়েন্দাদের সন্দেহ সত্যি হয় আর বেড়িয়ে আসে অবাক করার মতো তথ্য।
১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে কাস্টমস গোয়েন্দাদের রফিকুল এর আচরণ ও চলাচল স্বাভাবিক নয় এমন মনে হলে, গোয়েন্দা দল তাকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখার পর অবশেষে আটক হয় রফিকুল।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ জানান, যে আটক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্র জানায়, দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে সকালে রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর তার আচরণ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে সন্দেহ জনক মনে হয়। তার পায়ুপথে কিছু আছে এমনটি ধারনা পোষণ করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। অবশেষে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে ঘোষণা করেন যে তিনি দুটি সোনার বার এনেছেন এবং শুল্ক বাবদ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তার আচরণ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে স্বাভাবিক নয় এমন মনে হয়। তাই কাস্টমস কর্মকর্তারা তার উপর নজরদারি চালিয়ে যায়।
কিন্তু শুল্ক হল বা কাস্টমস হল পার হওয়ার সময় এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তার গতিবিধি সন্দেহ জনক মনে হয়। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার গতিবিধির উপর গোয়েন্দা দল করা নজরদারি করে।অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে যে একপর্যায়ে যাত্রীটি আর্চওয়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শরীরে ধাতব বস্তু পাওয়া যায়। সবশেষে গোয়েন্দাদের সন্দেহ সত্যি হয়। হাজার চেষ্টা করেও গোয়েন্দা দলের চোখ এরাতে পারে নি রফিকুল। এ সময় বাধ্য হয়ে রফিকুল মলদ্বারে দুটি স্বর্ণের বার থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি ওয়াশরুমে গিয়ে তাদের বের করেন।
জানা গছে,
আটক যাত্রী রফিকুল চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। এর আগেও সোনা এনেছিলেন। গত ৭ জুন স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার আনার সময় তাকে সর্বশেষ সতর্ক করা হয় কিন্তু শতর্ক করার পরেও নিজের লোভ সামলে রাখতে পারেন নি রফিকুল । তিনি আরও জানান, রফিকুল এর কাছে আরোও অনেক মুল্যবান সামগ্রী পাওয়া গেছে। রফিকুলের কাছে ৪৬৬ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার, ১০০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের অলঙ্কার, ১৫ কার্টন সিগারেট, প্রসাধনী, চকলেট ও খাবারের সামগ্রী পাওয়া গেছে। এগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১৪৮ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে আসার কথা থাকলেও তা সকাল ৭টা ২০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে। আপনাদের মুল্যবান সময় দিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য। সবসময় চেষ্টা করি করি আপনাদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার ছোট একটি শেয়ার ও ফলো আমার উৎসাহ জাগাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
Search tag:-
স্বর্ন
পায়ুপথে স্বর্ন পাচার
পায়ুপথে স্বর্ন আনতে গিয়ে ধরা পড়লো
স্বর্ন পাচার।
পায়ুপথে স্বর্ণ এনে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ধরা দুবাইয়ের যাত্রী
পায়ুপথে স্বর্ণ পাচারের সময় শাহজালালে নারী আটক
পায়ুপথে স্বর্ণ উদ্ধার সেই বিমানযাত্রী রিমান্ডে
তিন বিমানযাত্রীর পায়ুপথে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণ